April 21, 2025, 6:47 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
পাথরঘাটা যুবদলের আহ্বায়ক এবং যুগ্ম আহ্বায়ক নিয়ে আনন্দ মিছিল বরিশালে মা-দকদ্রব্য ক্রয় বিক্রয় কালে গু-লিবিদ্ধ হয়ে একজনার মৃ-ত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে রাণীশংকৈলে আওয়ামীলীগের ৫ নেতাকে আ-টক করেছে পুলিশ বিএনপি নেতা পরিচয়ে জমি দ-খলের অ-ভিযোগ সুন্দরবনে অভয়ারণ্যে নিষেধাজ্ঞার মাঝেই বি-ষ প্রয়োগে মাছ শি-কার জীববৈচিত্র্য হু-মকির মুখে সুন্দরবনের উপকূলে বোরো ধানের শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন কুমিল্লায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুল আলমকে গন সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে “স্বপ্ন”র প্রতিষ্ঠাতা সাহদীন সাবুর ৪৫ তম জন্মদিন পালিত পুঠিয়ায় অ-গ্নিকান্ডে বসতবাড়ি সহ গোয়ালঘর পু-ড়ে ছাই; ৫ লক্ষধিক টাকার ক্ষ-য়ক্ষতি নলডাঙ্গায় অটো উল্টে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃ-ত্যু
নলছিটিতে পহেলা বৈশাখে গ্রামীণ খেলায় উৎসুক জনতার ঢল

নলছিটিতে পহেলা বৈশাখে গ্রামীণ খেলায় উৎসুক জনতার ঢল

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের বারানি বাজার সংলগ্ন মাঠে আয়োজন করা হয় ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলার। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন এলাকার যুব সমাজের পক্ষ থেকে। পহেলা বৈশাখ, সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে ছিল  বোতল খেলা, সাবান খেলা, তেলমাখা কলাগাছে ওঠার প্রতিযোগিতা (গাছ বাওয়া), এবং সন্ধ্যার পরে অনুষ্ঠিত হয় চোখ বেঁধে হাঁস ধরা খেলা।

খেলাগুলো উপভোগ করতে স্থানীয়দের পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকেও উৎসুক দর্শনার্থীদের ঢল নামে। মাঠজুড়ে সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। সব বয়সী মানুষ এ আয়োজনে সমানভাবে আনন্দে মেতে ওঠেন।
প্রতিটি খেলায় ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কার বিতরণ করেন মোল্লারহাট ইউনিয়নের বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ মোল্লা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন যুবদলের নেতা মনির জমাদ্দার ও সুমন হাওলাদার, মিজান শরীফ প্রমুখ।
খেলা দেখতে আসা দর্শনার্থী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “এ ধরনের আয়োজন এখন আর খুব একটা দেখা যায় না। ছোটবেলায় এমন খেলাধুলা নিজেরাই খেলেছি, আজকে তা দেখে যেন সেই দিনগুলো ফিরে পেলাম। আমাদের সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে এমন আয়োজন বারবার দরকার।”

আরেক দর্শনার্থী সামিয়া আক্তার বলেন, “শহরের কোলাহল থেকে বেরিয়ে গ্রামের এমন প্রাণবন্ত পরিবেশে এসে খুব ভালো লাগছে। বিশেষ করে শিশুরা যেভাবে আনন্দ করছে, সেটা সত্যিই মন ছুঁয়ে যায়। পহেলা বৈশাখের আনন্দ এভাবেই ছড়িয়ে পড়ুক ঘরে ঘরে।”

এই ধরনের আয়োজন শুধু পহেলা বৈশাখের আনন্দকে বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে না, বরং আমাদের লোকজ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার এক অনন্য উদ্যোগ হিসেবেও বিবেচিত হয়। এ উৎসব বাংলার শেকড়ের টান ও বাঙালির প্রাণের সংস্কৃতিকে জীবন্ত করে তোলে।

আয়োজক কমিটিতে ছিলেন মো. মিলন সিকদার, মো. মিরাজ সিকদারসহ আরও অনেকে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD